৩১ জুল, ২০১৪

​ বন্ধ রাফাহ ক্রসিং এবং সহস্র মৃত্যু

২০১২ সালের নভেম্বরে ইসরাইল আক্রমণ করেছিলো গাজাতে, নাম দিয়েছিলো 'অপারেশন কাস্ট লিড'। হামাসের প্রতিরোধে টিকতে পারেনি খুব বেশিদিন। তখন মিশরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুহাম্মাদ মুরসি। রাফাহ ক্রসিং তখন খোলা ছিলো, তাই মুসলিম ব্রাদারহুডের অনেক সাহায্য পেয়েছিলো হামাস। সেই গ্লানিতে হিংস্র হয়ে থাকা ইসরাইল হয়ত তাই মুরসিকে প্রেসিডেন্ট থেকে সরিয়ে প্রকাশ্য হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ক্যু করতে সাহায্য করেছিলো জেনারেল সিসিকে। এবার তাই রাফাহ বন্ধ। মিশরের সিসি, সৌদির আব্দুল্লাহ, আমিরাতের আমির মিলেছে ইসরাইলের সাথে এবং গাজ্জাবাসির উপরে অত্যাচারকে অসহনীয় করে তুলেছে। ক্রমাগত অস্ত্রের সরবরাহ দিয়ে চলেছে আমেরিকা।


এদিকে স্পষ্ট এক কারাগারে গাজাবাসী, আল্লাহ ছাড়া কেউ সহায় নেই তাদের। ইসরাইলের আর্মি, নেভি আর এয়ারফোর্সের সমন্বিত হামলায় অসহায় এই বসতভিটা থেক উচ্ছেদ হওয়া উদ্বাস্তুশিবিরের নিরস্ত্র সাধারণ মানুষগুলো। এক তৃতীয়াংশ শিশুকে হত্যা করেছে নরাধম ইসরাইলি ইহুদিরা। গাজ্জা শহরের মানুষেরা সবদিক থেকে ইসরাইল বাহিনী পরিবেষ্টিত এবং কেবল একদিকে মিশরের রাফাহ সীমান্ত। সেটাও ইসরাইল এবং আমেরিকার দালালি করা সামরিক ক্যু করে ক্ষমতা কব্জা করে নেয়া জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ সিসির নির্দেশে বন্ধ। এবার চলছে ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ অপারেশন 'প্রোটেকটিভ এজ'।

সেই ২০১২ সালে ইসরাইলের গাজ্জা আক্রমণের সময়ে দু'টি লেখা লিখেছিলাম, অনেক কিছুই মিল পেলাম। দেড় বছর গিয়েছে। শত-শত নতুন লাশ এসেছে শিশুদের, কিশোর-কিশোরীদের, বৃদ্ধ-বৃদ্ধার। মুসলিম উম্মাহর গায়ে কলঙ্ক এসেছে আরো বেশি করে। যে কলঙ্কের দাগ অনেক গভীর, অনেক গাঢ়...

১) ডায়েরির পাতা : ফিলিস্তিন ১ http://idream4life.blogspot.com/2012/11/blog-post_5893.html

১) ডায়েরির পাতা : ফিলিস্তিন ২ http://idream4life.blogspot.com/2012/11/blog-post_19.html